গাণিতিক সমন্বয়ে সমন্বিত গ্রন্থ-NUMERICALLY STRUCTURED BOOK

সূধী পাঠক,পবিত্র কোরআন নিজেই বর্ণনা করছে যে এটি গানিতিক ভাবে সমন্বিত গ্রন্থ, আমরা বুঝতে পারিনি বলেই তা এতদিন ধরে লুকিয়ে ছিল। সূরা আল মুতাফিফিন এ মহান আল্লাহ্ বলছেন,

كَلَّا إِنَّ كِتَابَ الفُجَّارِ لَفِي سِجِّينٍ

৮৩:৭ এটা কিছুতেই উচিত নয়, নিশ্চয় পাপাচারীদের আমলনামা সিজ্জীনে আছে।

وَمَا أَدْرَاكَ مَا سِجِّينٌ

৮৩:৮ আপনি জানেন, সিজ্জীন কি

كِتَابٌ مَّرْقُومٌ

৮৩:৯ এটা লিপিবদ্ধ খাতা।

ثُمَّ يُقَالُ هَذَا الَّذِي كُنتُم بِهِ تُكَذِّبُونَ

৮৩:১৭ এরপর বলা হবে, একেই তো তোমরা মিথ্যারোপ করতে।

كَلَّا إِنَّ كِتَابَ الْأَبْرَارِ لَفِي عِلِّيِّينَ

৮৩:১৮ কখনও না, নিশ্চয় সৎলোকদের আমলনামা আছে ইল্লিয়্যীনে।

وَمَا أَدْرَاكَ مَا عِلِّيُّونَ

৮৩:১৯ আপনি জানেন ইল্লিয়্যীন কি?

كِتَابٌ مَّرْقُومٌ

৮৩:২০ এটা লিপিবদ্ধ খাতা।

يَشْهَدُهُ الْمُقَرَّبُونَ

৮৩:২১ আল্লাহর নৈকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতাগণ একে প্রত্যক্ষ করে।

লক্ষ্য করুন সূরা মুতাফিফিন এ দুই স্তানে মহান আল্লাহ ভাল ও মন্দ দুই প্রকার আমলনামার কথা বলেছেন,এদেরকে লিপিবদ্ধ খাতা রূপে অভিহিত করেছেন। আরবী শব্দ كِتَابٌ  অর্থাৎ খাতা ও مَّرْقُومٌ এর তরজমা লিপিবদ্ধ; অর্থাত লিখিত খাতা। পবিত্র কোরআন পরিস্কার ভাবে ঘোষনা করছে যে, প্রতিটি মানুষের আমল বা কৃতকর্ম লিখিত কাঠামোতে সংরক্ষিত।

83-The Cheaters, 17-21

إِذَا تُتْلَى عَلَيْهِ آيَاتُنَا قَالَ أَسَاطِيرُ الْأَوَّلِينَ

৮৩:১৩ তার কাছে আমার আয়াতসমূহ পাঠ করা হলে সে বলে, পুরাকালের উপকথা।

দুঃশ্চরিত্র লোকদের কাছে কোরআনের পবিত্রতার যত প্রমাণই তুলে ধরা হোকনা কেন,তারা এগুলোকে উপকথা বলে উপহাস করে,সত্যকে স্বীকার করতে চায়না। পবিত্র কোরআন গাণিতিক ভাবে সমন্বিত ঐশী গ্রন্থ। কিন্ত তারা বলে গল্প কাহিনী ছাড়া আর কিছু নয়। কিন্তু,প্রকৃতপক্ষে এটি দয়াময়ের করুণার দান,মানুষের পথ প্রদর্শক,আলোক বর্তিকা।

সূধী পাঠক, আমরা এই অমৃত ভাণ্ডারের গাণিতিক বিষ্ময়গুলোকে দু’টি প্রধান ভাগে ভাগ করে বুঝতে চেষ্টা করবো।তন্মধ্যে একটি ভাগ হল অভিধানিক মিলের দিক লক্ষ্য রেখে; আর তা হল শব্দের মিল,যার সাথে সমন্বয় রয়েছে পাকৃতিক ব্যবস্থাদিতে। এই সমন্বগুলো বুঝতে খুবই সহজ,কিন্তু তার পরিবর্তন সাধন একেবারেই অসম্ভব। যারা অঙ্কে আগ্রহী নয় তারাও সহজেই তা বুঝতে পারবে। দ্বিতীয় অংশে থাকবে ১৯ সংখ্যার বিষ্ময়কর সমন্বয়। আমরা ১৯ সংখ্যাটি নিয়ে একারণে চিন্তাভাবনা করবো য,সংখ্যাটি পবিত্র কোরআনে উল্লিখিত হয়েছে এবং নানাভাবে এর সমন্বয় করা হয়েছে। যে কেউ ১ থেকে ১৯ সহজেই হিসেব করতে পারে এবং অনায়াসে পবিত্র কোরআনে এ সম্পর্কিত বিষ্ময়কর সমন্বয়গুলো প্রত্যক্ষ্য করতে পারেন,যা বুঝা খুবই সহজ কিন্তু পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করা একেবারেই অসম্ভব। এখানে কে কোন বিষয়ের আবিস্কারক তা কোন বিশেষ ব্যাপার নয়। পবিত্র কোরআনের কোন বিষ্ময়কর বিষয়ের আবিস্কারক যদি কোন অবিশ্বাসীও হোন আর তার অবিস্কারের বিষয়বস্তুটি যতি সত্য হয় তা হলে আবিস্কারক দিয়ে আমাদের কিছু যায় আসেনা;কারণ আমাদের লক্ষ্য হল সত্যানুসন্ধান ও তার পরিস্ফূটন। কোন বিতর্ক সৃষ্টি যেমন আমাদের লক্ষ্য নয় তেমনি পবিত্র কোরআনের কোন বিষ্ময়কে অবহেলাভরে পরিত্যাগ করাও কামনা নয়। অসতর্কতা বশতঃ কোন গবেষকের ভুল অন্য আবিস্কারকের আবিস্কারকে ম্লান করে দিতে পারেনা। প্রকৃত সত্যের নিরিখে যা মূল্যায়ন যোগ্য,তার প্রকৃত মূল্যায়নই আমাদের লক্ষ্য। ১৪০০বছর ধরে পবিত্র কোরআনের পাতায় যা অত্যাশ্চর্যে প্রতিক হয়ে প্রতিভাত হওয়ার আশায় আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে,তাকে কে অনাবৃত করলো তা কোন মূখ্য বিষয় নয়, মূখ্য বিষয় হল মহান আল্লার বিধিত বিষয়টি, যা তাঁরই ইচ্ছায় তাঁরই নির্ধারিত কোন ব্যাক্তির পরিচর্যায় কুসুমিত হয়ে আমাদের দৃষ্টি ও বিশ্বাসকে আমাদেরই অজান্তে প্রকট করে তোলা।

কোরআনিক এই সমন্বয় গুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা বা গ্রহনযোগ্যতা কোন ক্রমেই তার আবিস্কারকের বিশ্বাসযোগ্যতা বা গ্রহণযোগ্যাতার উপর নির্ভর করেনা,তা নির্ভর করে  কোরানিক বিষয়ের নিজ দক্ষতা তার মালিকানা, তার পরিসংখ্যান ও সম্ভাব্যতার নিয়মের ও যুক্তির উপর। পবিত্র কোরআনের এই বিষয়গুলি নিজ মহিমায় ভাস্বর ও গ্রহনযোগ্য। আমাদের সময়ে নাস্তিকতা একটা সংক্রামক ব্যাধি, আর এই গানিতিক সমন্বয়ই পারে এই ব্যাধি থেকে মানুষকে মুক্ত করতে। কারণ মানুষ যতই নির্বোধ হোকনা কেন,সে গণিতের যুক্তিকে অস্বীকার করতে পারেনা। একটা সরল সমীকরনকে অস্বীকার করার দুঃসাহস তাদের নেই। এই গাণিতিক সমন্বয়ই তাদের জন্যে উত্তম জবাব যা অস্বীকার করার মত যুক্তি তাদের নাস্তিকতার যুক্তিশাস্ত্রে নেই। এই সমন্বয় কোন ক্ষণস্থায়ী বিষয় নয়, এটি পবিত্র কোরআনের গাঠণিক কাঠামো,চিরস্থায়ী;যখন খুশি তখনই তা পরীক্ষা করে দেখা যায়।

তাইতো মহান আল্লাহ্ সূরা বণী ইসরাঈলের ৮৮ আয়াতে বলছেন,

قُل لَّئِنِ اجْتَمَعَتِ الإِنسُ وَالْجِنُّ عَلَى أَن يَأْتُواْ بِمِثْلِ هَـذَا الْقُرْآنِ لاَ يَأْتُونَ بِمِثْلِهِ وَلَوْ كَانَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ ظَهِيرًا

১৭:৮৮ বলুনঃ যদি মানব ও জ্বিন এই কোরআনের অনুরূপ রচনা করে আনয়নের জন্যে জড়ো হয়, এবং তারা পরস্পরের সাহায্যকারী হয়; তবুও তারা কখনও এর অনুরূপ রচনা করে আনতে পারবে না।

সূধী পাঠক,পবিত্র কোরআন মণিষার এ এক মহা চ্যালেঞ্জ,একমাত্র এই গ্রন্থের  স্রষ্টা ছাড়া আর কোন সৃষ্ট প্রাণীর পক্ষে এই সমন্বিত গ্রন্থ এমনকি একটি সূরা বা নিতান্ত একটি আয়াত তৈরী করা সম্ভব নয়। আমরা ‘পবিত্র কোরআনের গাণিতিক সমন্বয়’ পর্ব-১ এ হয়তোবা দেখে থাকবো কি বিষ্ময়কর সমন্বয় যা কোন মানবীয় সৃষ্টি হতে পারেনা। আমরা এ পর্বেও ধীরে ধীরে অনুরূপ দেখবো।

আমরা এখন অভিধানিক মিলের কিছু সংখ্যা তাত্ত্বিক সমন্বয় দেখবো।

১. পবিত্র কোরআনে দিবস শব্দের উপস্থিতি :-‘দিবস’ আরবীতে যাকে ইয়াওম বলা হয়,তা পবিত্র কোরআনে ৩৬৫ বার ব্যাবহৃত হয়েছে।আমরা জানি এটি দিনপঞ্জিকার একটি অতি পরিচিত সংখ্যা; যা আমাদের বছরের দিবস সংখ্যা বুঝায়।সৌর বছরের মোট দিবস সংখ্যা। এটি শুধু দিন পঞ্জির একটি সংখ্যাই নয় এটি সেই সংখ্যায় সম্পর্কযুক্ত হয়ে আছে সূর্যের সাথে আমাদের পৃথিবী। যখন আমাদের পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে একটা ঘূর্ণন সম্পন্ন করে আসে,ততক্ষণে সে নিজে তার নিজ অক্ষের উপর ঠিক ৩৬৫ টি ঘূর্ণন সম্পন্ন করে। অণ্যভাবে বলা যায় যে, আমাদের পৃথিবী যতক্ষণে সূর্যের চারিদিকে প্রদক্ষিন করে আসে,ততক্ষণে আমরা পৃথিবীর মানুষ ৩৬৫ দিন বা একবছর অতিক্রান্ত করি।

পবিত্র কোরআনে  ‘এক দিন’ শব্দটি উল্লেখ সংখ্যা ৩৬৫= সূর্যের চারিদিকে পৃখিবী একবার ঘুরে আসতে দিবস সংখ্যা ৩৬৫।

সূধী পাঠক লক্ষ্য করুন এই দিবস শব্দটি একবচনে (ইয়াওম)৩৬৫ বার ব্যবহৃত হয়েছে যা ১বছরে পৃথিবী নিজ অক্ষের উপর ঘূর্ণন সংখ্যা। আবার এই একই শব্দ বহু বচনে (ইয়াম eyyam, yewmeyn) রূপে বসেছে ৩০ বার যা এক মাসের দিবস সংখ্যা বুঝায়। হয়তোবা প্রশ্ন করে বসবেন, প্রত্যেক মাসে দিবসের সংখ্যা ৩০ এ স্থির নয়। সূধী পাঠক এই সমস্যারও ফয়সালা রয়েছে। আমরা জানি সৌর মাসে দিবসের সংখ্যা ৩০ ও ৩১; আবার আরবী মাসে দিবসের সংখ্যা ২৯ ও ৩০। ফলে উভয় ক্যালেন্ডারেই ৩০ হল মধ্য বিন্দু। কোরআন অবতীর্ণ হওয়ার জাতি গোষ্ঠিতে ব্যাবহৃত ক্যালেন্ডার হল আরবী ক্যালেন্ডার;যা চন্দ্র মাসের হিসেবে হয়।এই ক্যালেন্ডারে ৩০ সংখ্যাটি অর্থপূর্ণ। আরবী মাস গড়ে ২৯.৫৩ দিনে সম্পন্ন হয়। একে পূর্ণ সংখ্যায় হিসেব করতে ৩০ ধরতে হয়। অর্থাত কোরআন নির্ভুলভাবে উচ্চতর সংখ্যা ৩০ বুঝাবার জন্যেই হয়তো দিবস শব্দটিকে বহুবচনে ৩০ বার ব্যবহার করেছে; যা প্রকৃত পক্ষেই গাণিতিক সমন্বয়ের এক মহাবিষ্ময়।

সুতরাং বলা যায় ‘দিবসগুলি’ ব্যবহার সংখ্যা ৩০= ১ মাসে দিবসের সংখ্যা।

এখানেই শেষ নয়, দিবস শব্দটির অন্যান্ন জাতক শব্দ সমেত দিবস সম্পর্কীয় মোট শব্দ ৪৭৫ টি যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।অর্থাত দিবসের জাতক শব্দ ৮০ টি; সর্বমোট সংখ্যা দাঁড়ায়  ৩৬৫+৩০+৮০=৪৭৫=২৫x x ১৯। উদ্ভূত উৎপাদক দুটির মধ্যে (১৯,২৫); ১৯ সংখ্যাটি গাণিতিক সমন্বয়ের ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী সংখ্যা। এ বিষয়ে আমরা পরে আলোচনা করবো। এখানে ২৫ সংখ্যাটিও অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জানি এই দিবস সূর্যের সাথে পৃথিবীর সমন্বকারী; এবং র্পথিবী সূর্যের চারিদিকে একবার ঘুরে আসাতে আসতে নজ অক্ষের উপর ৩৬৫ বার ঘুরে । আবার সূর্যের অক্ষঘুর্ণিও রয়েছে। এক বছরে পৃথিবী নিজ অক্ষের উপর যেমনি ৩৬৫ বার ঘুরে; ঠিক এই সময়ে সূর্যের অক্ষঘূর্ণি হয় ২৫25 বার। আর এই পদ্ধতি হল মহান স্রষ্টার বিধিত বিধান। আর পবিত্র কোরআনে সংখ্যাগুলোর সমন্বয়ে এই বিষ্ময়কর পরিকল্পনাও তাঁরই। শুধু মাত্র তাঁরই পরিকল্পনায় পবিত্র কোরআন এভাবে রচিত হয়েছে। এই বিষ্ময় কত সহজে বুঝা গেল, কিন্তু পরিবর্তন বা পরিবর্ধন একমাত্র এই গ্রন্থের স্রষ্টা ছাড়া অন্য কোন সত্ত্বার পক্ষে সম্ভব নয়। মহা কাশে এই মহাব্যবস্থায় ঘূর্ণন পদ্ধতি মানুষ জানতে পেরেছে নিতান্তই আধুনিক জমানায় এসে; বলতে পারেন উণবিংশ শতাব্দিতে,আবার পৃথিবী চন্দ্র সূর্যের এই ঘূর্ণন সংখ্যা জানা গেছে একেবারেই বিংশ শতাব্দীতে এসে। অথচ পবিত্র কোরআনে তা সমন্বিত হয়ে মানুষের কাছে এসে পেঁছেছে ১৪০০ বছর আগে।এখন প্রশ্ন হল কেন এই তথ্যগুলো পরিস্কার ভাবে বর্ণনা করা হয়নি। সুধী পাঠক পবিত্র কোরআনে একটা বিষয় হয়তোবা লক্ষ্য করে থাকবেন যে,বিভিন্ন তথ্যপূর্ণ আয়াতগুলো  বর্ণিত হওয়ার পরপরই ভাবুক সমাজকে ভেবে দেখবার জন্যে আহ্বাণ করা হয়েছে। আমরা কি ভেবে দেখেছি সে আয়াতের মধ্যে ভাববার কি আছে? সূধী পাঠক, সম্ভবত এ কারণেই এই তথ্য ও তত্ত্বগুলোকে পবিত্র কোরআনে অনাবৃত করা হয়নি,রেখে দেওয়া হয়েছে আজকের বিজ্ঞানের ক্রম বিকাশের জন্যে(আল্লাহ্ই জানেন ভাল)।

সূধী পাঠক,উপরে উৎপাদক ২৫ এর মাহাত্ব দেখেছেন,১৯ এর বিষ্ময় দেখেননি। এবার দেখুন সেই বিষ্ময়কর অলৌকিকতা। আজকের বিজ্ঞান খুঁজে পেয়েছে সেই মহা সম্পর্ক। তাকিয়ে দেখুন বিষ্ময় কাকে বলে! চন্দ্র সূর্য আর পৃথিবীর ঘূর্ণন পদ্ধতিতে এই 19 সংখ্যাটি আরেক বিষ্ময়। চাঁদ/সুরুয/পৃথিবী এই তিনটি মহাকাশীয় বস্ত প্রতি ১৯ বছরে এক সরল রেখায় আসে। এই ১৯ বছরের চক্রকে র্জ্যোতিবিজ্ঞানের ভষায় এক মেট্রন চক্র বলে। ১৯x২৫475; এর পরেওকি পবিত্র কোরআনকে মানব রচিত পূরাণিক কাহিনী বলবেন?

আমরা উপরে দিবস শব্দ ও তা থেকে উৎপন্ন জাতক থেকে তৈরী সংখ্যার সমন্বয় থেকে পেলাম 19×25=475 ; এখানে প্রণিধান যোগ্য যে,পবিত্র কোরআনে ‘বছর’ শব্দটির জাতক (sinet, sinin) উল্লিখিত হয়েছে ১৯ বার। এ ক্ষেত্রে লিপ ইয়ারের কারণে সৌর ও চন্দ্র পঞ্জিকায় সংশোধন প্রায়োজন; দেখা গেছে পৃথিবী যতদিনে তার নিজ অক্ষের উপর ৩৬৫ বার ঘুরে, চন্দ্র তত দিন পৃথিবীকে ১২ বার প্রদক্ষিণ করে আর নিজ অক্ষের উপরও তত বারই ঘুরে আসে। আর এতে ১ বছর সময় লাগে। কিন্তু পৃথিবী নিজ আক্ষের উপর একটা পূর্ণ ঘূর্ণন সম্পন্ন করে পূর্ব স্থানে ফির আসে ততক্ষণে চাদ পৃথিবীর চারিদিকে একটা পূর্ণ ঘূর্ণন শেষ করে উঠেতে পারেনা,কিছুটা পিছনে পড়ে যায়। আর পিছনে পড়া শেষ করে ১৯ বছরে পুনরায় এক বিন্দুতে মিলিত হয় অর্থাৎ চন্দ্র সূরুয ও পৃথিবী এক সরল রেখায় আসে আর এই চক্রকে বলে মেটন চক্র (Meton cycle) । তাই চন্দ্র পঞ্জিকায় প্রতি ১৯ বছরে ৭ টি লিপ ইয়ারের মাধ্যামে এই ঘাটতি পূরণ করা হয়। আরবী সাধারন বছরে দিনের সংখ্যা হয় ৩৫৪ আর লিপ ইয়ারে  দিনের সংখ্যা হয় ৩৫৫। তাহলে দেখা যাচ্ছে প্রতি মেটন চক্রে আরবী সাধারন বছর হয় ১২ টি আর লিপইয়ার হয় ৭ টি। বিষ্ময়কর হল এই যে, পবিত্র কোরআনে  একবচনে বছর (sinet)) শব্দটি ঠিক ব্যবহৃত হয়েছে ৭ বার আর বহুবচনে বছর  (sinin) শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে ১২ বার। আবার বছর শব্দের অন্যান্ন জাতক শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে ১৯ বার;সম্ভবত এই ১৯ মেটন চক্রেরই সংকেত(আল্লাহ্ই জানেন    ভাল )।

পরিশেষে দেখা যাচ্ছে বছর শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে ১৯ বার; এক মেটন চক্র ১৯ বছরে হয়। আরও বিষ্ময় দেখুন, চাঁদ সুরুয একত্রে ব্যাবহৃত হয়েছে এমন আয়াতের সংখ্যা পবিত্র কোরআনে ঠিক ১৯ টি; আর এই সংখ্যাটিই মেট্রন সংখ্যা। চাঁদ সুরুয শব্দ দুইটি একত্রে ব্যাবহৃত হয়েছে এমন আয়াত গুলো দেখুন,

وَجُمِعَ الشَّمْسُ وَالْقَمَرُ

75:9 এবং সূর্য ও চন্দ্রকে একত্রিত করা হবে  সূরা-আল কিয়ামাহ্ (বিচার দিবস)

وَمِنْ آيَاتِهِ اللَّيْلُ وَالنَّهَارُ وَالشَّمْسُ وَالْقَمَرُ لَا تَسْجُدُوا لِلشَّمْسِ وَلَا لِلْقَمَرِ وَاسْجُدُوا لِلَّهِ الَّذِي خَلَقَهُنَّ إِن كُنتُمْ إِيَّاهُ تَعْبُدُونَ

41: 37 তাঁর নিদর্শনসমূহের মধ্যে রয়েছে দিবস, রজনী, সূর্য ও চন্দ্র। তোমরা সূর্যকে সেজদা করো না, চন্দ্রকেও না; আল্লাহকে সেজদা কর, যিনি এগুলো সৃষ্টি করেছেন, যদি তোমরা নিষ্ঠার সাথে শুধুমাত্র তাঁরই এবাদত কর।

فَالِقُ الإِصْبَاحِ وَجَعَلَ اللَّيْلَ سَكَنًا وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ حُسْبَانًا ذَلِكَ تَقْدِيرُ الْعَزِيزِ الْعَلِيمِ

6:96 তিনি প্রভাত রশ্মির উন্মেষক। তিনি রাত্রিকে আরামদায়ক করেছেন এবং সূর্য ও চন্দ্রকে হিসেবের জন্য রেখেছেন। এটি পরাক্রান্ত, মহাজ্ঞানীর নির্ধারণ। সূরা- আল আন আম।

إِنَّ رَبَّكُمُ اللّهُ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضَ فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ ثُمَّ اسْتَوَى عَلَى الْعَرْشِ يُغْشِي اللَّيْلَ النَّهَارَ يَطْلُبُهُ حَثِيثًا وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ وَالنُّجُومَ مُسَخَّرَاتٍ بِأَمْرِهِ أَلاَ لَهُ الْخَلْقُ وَالأَمْرُ تَبَارَكَ اللّهُ رَبُّ الْعَالَمِينَ

৭:৫৪ নিশ্চয় তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহ। তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর আরশের উপর অধিষ্টিত হয়েছেন। তিনি পরিয়ে দেন রাতের উপর দিনকে এমতাবস্থায় যে, দিন দৌড়ে রাতের পিছনে আসে। তিনি সৃষ্টি করেছেন সূর্য, চন্দ্র ও নক্ষত্র দৌড় স্বীয় আদেশের অনুগামী। শুনে রেখ, তাঁরই কাজ সৃষ্টি করা এবং আদেশ দান করা। আল্লাহ, বরকতময় যিনি বিশ্বজগতের প্রতিপালক।  সূরা আল আরাফ

هُوَ الَّذِي جَعَلَ الشَّمْسَ ضِيَاء وَالْقَمَرَ نُورًا وَقَدَّرَهُ مَنَازِلَ لِتَعْلَمُواْ عَدَدَ السِّنِينَ وَالْحِسَابَ مَا خَلَقَ اللّهُ ذَلِكَ إِلاَّ بِالْحَقِّ يُفَصِّلُ الآيَاتِ لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ

১০:৫ তিনিই সে মহান সত্তা, যিনি বানিয়েছেন সুর্যকে উজ্জল আলোকময়, আর চন্দ্রকে স্নিগ্ধ আলো বিতরণকারীরূপে এবং অতঃপর নির্ধারিত করেছেন এর জন্য মনযিল সমূহ, যাতে করে তোমরা চিনতে পার বছরগুলোর সংখ্যা ও হিসাব। আল্লাহ এই সমস্ত কিছু এমনিতেই সৃষ্টি করেননি, কিন্তু যথার্থতার সাথে। তিনি প্রকাশ করেন লক্ষণসমূহ সে সমস্ত লোকের জন্য যাদের জ্ঞান আছে।

إِذْ قَالَ يُوسُفُ لِأَبِيهِ يَا أَبتِ إِنِّي رَأَيْتُ أَحَدَ عَشَرَ كَوْكَبًا وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ رَأَيْتُهُمْ لِي سَاجِدِينَ

১২:৪ যখন ইউসুফ পিতাকে বললঃ পিতা, আমি স্বপ্নে দেখেছি এগারটি নক্ষত্রকে। সুর্যকে এবং চন্দ্রকে। আমি তাদেরকে আমার উদ্দেশে সেজদা করতে দেখেছি।  সূরা ইউসূফ

اللّهُ الَّذِي رَفَعَ السَّمَاوَاتِ بِغَيْرِ عَمَدٍ تَرَوْنَهَا ثُمَّ اسْتَوَى عَلَى الْعَرْشِ وَسَخَّرَ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ كُلٌّ يَجْرِي لأَجَلٍ مُّسَمًّى يُدَبِّرُ الأَمْرَ يُفَصِّلُ الآيَاتِ لَعَلَّكُم بِلِقَاء رَبِّكُمْ تُوقِنُونَ

13:2 আল্লাহ, যিনি উর্ধ্বদেশে স্থাপন করেছেন আকাশমন্ডলীকে স্তম্ভ ব্যতীত। তোমরা সেগুলো দেখ। অতঃপর তিনি আরশের উপর অধিষ্ঠিত হয়েছেন। এবং সূর্য ও চন্দ্রকে কর্মে নিয়োজিত করেছেন। প্রত্যেকে নির্দিষ্ট সময় মোতাবেক আবর্তন করে। তিনি সকল বিষয় পরিচালনা করেন, নিদর্শনসমূহ প্রকাশ করেন, যাতে তোমরা স্বীয় পালনকর্তার সাথে সাক্ষাত সম্বন্ধে নিশ্চিত বিশ্বাসী হও।  সূরা আর রাদ

وَسَخَّر لَكُمُ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ دَآئِبَينَ وَسَخَّرَ لَكُمُ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ

14:33 এবং তোমাদের সেবায় নিয়োজিত করেছেন সূর্যকে এবং চন্দ্রকে সর্বদা এক নিয়মে এবং রাত্রি ও দিবাকে তোমাদের কাজে লাগিয়েছেন। সূরা ইব্রাহীম

وَسَخَّرَ لَكُمُ اللَّيْلَ وَالْنَّهَارَ وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ وَالْنُّجُومُ مُسَخَّرَاتٌ بِأَمْرِهِ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِّقَوْمٍ يَعْقِلُونَ

16:12 তিনিই তোমাদের কাজে নিয়োজিত করেছেন রাত্রি, দিন, সূর্য এবং চন্দ্রকে। তারকাসমূহ তাঁরই বিধানের কর্মে নিয়োজিত রয়েছে। নিশ্চয়ই এতে বোধশক্তিসম্পন্নদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে। সূরা আন নাহল

وَهُوَ الَّذِي خَلَقَ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ كُلٌّ فِي فَلَكٍ يَسْبَحُونَ

২১:৩৩ তিনিই সৃষ্টি করেছেন রাত্রি ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্র। সবাই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ করে। সূরা আম্বিয়া

أَلَمْ تَرَ أَنَّ اللَّهَ يَسْجُدُ لَهُ مَن فِي السَّمَاوَاتِ وَمَن فِي الْأَرْضِ وَالشَّمْسُ وَالْقَمَرُ وَالنُّجُومُ وَالْجِبَالُ وَالشَّجَرُ وَالدَّوَابُّ وَكَثِيرٌ مِّنَ النَّاسِ وَكَثِيرٌ حَقَّ عَلَيْهِ الْعَذَابُ وَمَن يُهِنِ اللَّهُ فَمَا لَهُ مِن مُّكْرِمٍ إِنَّ اللَّهَ يَفْعَلُ مَا يَشَاء

২২:১৮ তুমি কি দেখনি যে, আল্লাহকে সেজদা করে যা কিছু আছে নভোমন্ডলে, যা কিছু আছে ভুমন্ডলে, সূর্য, চন্দ্র, তারকারাজি পর্বতরাজি বৃক্ষলতা, জীবজন্তু এবং অনেক মানুষ। আবার অনেকের উপর অবধারিত হয়েছে শাস্তি। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা লাঞ্ছিত করেন, তাকে কেউ সম্মান দিতে পারে না। আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করেন।-সূরা আল হাজ্ব

وَلَئِن سَأَلْتَهُم مَّنْ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَسَخَّرَ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لَيَقُولُنَّ اللَّهُ فَأَنَّى يُؤْفَكُونَ

29:61 যদি আপনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, কে নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডল সৃষ্টি করেছে, চন্দ্র ও সূর্যকে কর্মে নিয়োজিত করেছে? তবে তারা অবশ্যই বলবে আল্লাহ। তাহলে তারা কোথায় ঘুরে বেড়াচ্ছে?- সূরা আনকাবুত

َلَمْ تَرَ أَنَّ اللَّهَ يُولِجُ اللَّيْلَ فِي النَّهَارِ وَيُولِجُ النَّهَارَ فِي اللَّيْلِ وَسَخَّرَ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ كُلٌّ يَجْرِي إِلَى أَجَلٍ مُّسَمًّى وَأَنَّ اللَّهَ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ

31:29 তুমি কি দেখ না যে, আল্লাহ রাত্রিকে দিবসে প্রবিষ্ট করেন এবং দিবসকে রাত্রিতে প্রবিষ্ট করেন? তিনি চন্দ্র ও সূর্যকে কাজে নিয়োজিত করেছেন। প্রত্যেকেই নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত পরিভ্রমণ করে। তুমি কি আরও দেখ না যে, তোমরা যা কর, আল্লাহ তার খবর রাখেন

يُولِجُ اللَّيْلَ فِي النَّهَارِ وَيُولِجُ النَّهَارَ فِي اللَّيْلِ وَسَخَّرَ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ كُلٌّ يَجْرِي لِأَجَلٍ مُّسَمًّى ذَلِكُمُ اللَّهُ رَبُّكُمْ لَهُ الْمُلْكُ وَالَّذِينَ تَدْعُونَ مِن دُونِهِ مَا يَمْلِكُونَ مِن قِطْمِيرٍ

35:13 তিনি রাত্রিকে দিবসে প্রবিষ্ট করেন এবং দিবসকে রাত্রিতে প্রবিষ্ট করেন। তিনি সূর্য ও চন্দ্রকে কাজে নিয়োজিত করেছেন। প্রত্যেকটি আবর্তন করে এক নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত। ইনি আল্লাহ; তোমাদের পালনকর্তা, সাম্রাজ্য তাঁরই। তাঁর পরিবর্তে তোমরা যাদেরকে ডাক, তারা তুচ্ছ খেজুর আঁটিরও অধিকারী নয়।  সূরা ফাতির

َا الشَّمْسُ يَنبَغِي لَهَا أَن تُدْرِكَ الْقَمَرَ وَلَا اللَّيْلُ سَابِقُ النَّهَارِ وَكُلٌّ فِي فَلَكٍ يَسْبَحُونَ

36:40 সূর্য নাগাল পেতে পারে না চন্দ্রের এবং রাত্রি অগ্রে চলে না দিনের প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষপথে সন্তরণ করে।

خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ بِالْحَقِّ يُكَوِّرُ اللَّيْلَ عَلَى النَّهَارِ وَيُكَوِّرُ النَّهَارَ عَلَى اللَّيْلِ وَسَخَّرَ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ كُلٌّ يَجْرِي لِأَجَلٍ مُسَمًّى أَلَا هُوَ الْعَزِيزُ الْغَفَّارُ

39:5 তিনি আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন যথাযথভাবে। তিনি রাত্রিকে দিবস দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং দিবসকে রাত্রি দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং তিনি সুর্য ও চন্দ্রকে কাজে নিযুক্ত করেছেন প্রত্যেকেই বিচরণ করে নির্দিষ্ট সময়কাল পর্যন্ত। জেনে রাখুন, তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল।

আমরা এতক্ষন দেখলাম দিবস শব্দটি ও তার বিভিন্ন জাতক শব্দ মিলে  কি সুন্দর গাণিতিক সমন্বয় সৃষ্টি করেছে। শুধু তাই নয় এই শব্দ থেকে উৎপন্ন ফ্রেজ  সমুহ ‘ঐ দিন, শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে মহা প্রলয়ের দিন প্রসঙ্গে, আবার ‘মহা বিচার দিন’ শব্দ গুচ্ছটি বিচার দিবস প্রসঙ্গে ব্যবহৃত হয়েছে। এই শব্দ গুচ্ছ দু’টি পবিত্র কোরআনে প্রত্যেকে ৭০ বার করে ব্যবহৃত হয়েছে যা ঐ ৪৭৫ বার ব্যবহারের বাইরে। লক্ষ্য করুন নীচের আয়াত দু’টি-

وُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ نَّاعِمَةٌ

৮৮:৮ অনেক মুখমন্ডল সেদিন হবে, সজীব,  সূরা আল-গাসীয়াহ

وَمَا قَدَرُوا اللَّهَ حَقَّ قَدْرِهِ وَالْأَرْضُ جَمِيعًا قَبْضَتُهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَالسَّماوَاتُ مَطْوِيَّاتٌ بِيَمِينِهِ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى عَمَّا يُشْرِكُونَ

৩৯:৬৭ তারা আল্লাহকে যথার্থরূপে বোঝেনি। কেয়ামতের দিন গোটা পৃথিবী থাকবে তাঁর হাতের মুঠোতে এবং আসমান সমূহ ভাঁজ করা অবস্থায় থাকবে তাঁর ডান হাতে। তিনি পবিত্র। আর এরা যাকে শরীক করে, তা থেকে তিনি অনেক উর্ধ্বে।

সূধী পাঠক,পবিত্র কোরআনে দিন শব্দটির ব্যবহার দেখে কি খুবই অবাক হচ্ছেন?অবাক হওয়ার কিছুই নেই, এই সমন্বয় যাঁর দ্বারা সাধিত,তাঁর পক্ষে এগুলো কোন ভাবনা চিন্তার বিষয় নয়;কারণ তিঁনি ত্রিমাত্রার কউ নন,মহাবিশ্বের সকল মাএাই তাঁর; ভুতভবিষ্যত সবকিচুই তাঁর জানা, সকল সমীকরণের ফলাফল তার অগ্রীম জানা। মেট্রন চক্র থেকে মহাবিশ্বের শেষ বিচার দিন অবদি সকল হিসেবই তাঁর জানা। তাইতো পবিত্র কোরআনে যা কিছু দেখবেন সবই এমনি তর অবাক করা। আমাদের দিকে দৃষ্টি রাখুন,মহান আল্লাহর ইচ্ছে হলে আমরা এক এক করে দেখতে চেষ্টা করবো।

প্রবন্ধটি ‘THE QURAN UNCHALLENGEABLE MIRACLE’  By CANER TASLAMAN গ্রন্থের সহযোগিতায় প্রণিত।

12.00

সূধী পাঠক,পবিত্র কোরআন নিজেই বর্ণনা করছে যে এটি গানিতিক ভাবে সমন্বিত গ্রন্থ, আমরা বুঝতে পারিনি বলেই তা এতদিন ধরে লুকিয়ে ছিল। সূরা আল মুতাফিফিন এ মহান আল্লাহ্ বলছেন,

كَلَّا إِنَّ كِتَابَ الفُجَّارِ لَفِي سِجِّينٍ

৮৩:৭ এটাকিছুতেইউচিতনয়, নিশ্চয়পাপাচারীদেরআমলনামাসিজ্জীনেআছে।

وَمَا أَدْرَاكَ مَا سِجِّينٌ

৮৩:৮ আপনিজানেন, সিজ্জীনকি

كِتَابٌ مَّرْقُومٌ

৮৩:৯ এটালিপিবদ্ধখাতা।

ثُمَّ يُقَالُ هَذَا الَّذِي كُنتُم بِهِ تُكَذِّبُونَ

৮৩:১৭ এরপরবলাহবে, একেইতোতোমরামিথ্যারোপকরতে।

كَلَّا إِنَّ كِتَابَ الْأَبْرَارِ لَفِي عِلِّيِّينَ

৮৩:১৮ কখনওনা, নিশ্চয়সৎলোকদেরআমলনামাআছেইল্লিয়্যীনে।

وَمَا أَدْرَاكَ مَا عِلِّيُّونَ

৮৩:১৯ আপনিজানেনইল্লিয়্যীনকি?

كِتَابٌ مَّرْقُومٌ

৮৩:২০ এটালিপিবদ্ধখাতা।

 

يَشْهَدُهُ الْمُقَرَّبُونَ

৮৩:২১ আল্লাহরনৈকট্যপ্রাপ্তফেরেশতাগণএকেপ্রত্যক্ষকরে।

লক্ষ্য করুন সূরা মুতাফিফিন এ দুই স্তানে মহান আল্লাহ ভাল ও মন্দ দুই প্রকার আমলনামার কথা বলেছেন,এদেরকে লিপিবদ্ধ খাতা রূপে অভিহিত করেছেন। আরবী শব্দ كِتَابٌ  অর্থাৎ খাতা ও مَّرْقُومٌএর তরজমা লিপিবদ্ধ; অর্থাত লিখিত খাতা। পবিত্র কোরআন পরিস্কার ভাবে ঘোষনা করছে যে, প্রতিটি মানুষের আমল বা কৃতকর্ম লিখিত কাঠামোতে সংরক্ষিত।

83-The Cheaters, 17-21

إِذَا تُتْلَى عَلَيْهِ آيَاتُنَا قَالَ أَسَاطِيرُ الْأَوَّلِينَ

৮৩:১৩ তার কাছে আমার আয়াতসমূহ পাঠ করা হলে সে বলে, পুরাকালের উপকথা।

দুঃশ্চরিত্র লোকদের কাছে কোরআনের পবিত্রতার যত প্রমাণই তুলে ধরা হোকনা কেন,তারা এগুলোকে উপকথা বলে উপহাস করে,সত্যকে স্বীকার করতে চায়না। পবিত্র কোরআন গাণিতিক ভাবে সমন্বিত ঐশী গ্রন্থ। কিন্ত তারা বলে গল্প কাহিনী ছাড়া আর কিছু নয়। কিন্তু,প্রকৃতপক্ষে এটি দয়াময়ের করুণার দান,মানুষের পথ প্রদর্শক,আলোক বর্তিকা।

সূধী পাঠক, আমরা এই অমৃত ভাণ্ডারের গাণিতিক বিষ্ময়গুলোকে দু’টি প্রধান ভাগে ভাগ করে বুঝতে চেষ্টা করবো।তন্মধ্যে একটি ভাগ হল অভিধানিক মিলের দিক লক্ষ্য রেখে; আর তা হল শব্দের মিল,যার সাথে সমন্বয় রয়েছে পাকৃতিক ব্যবস্থাদিতে। এই সমন্বগুলো বুঝতে খুবই সহজ,কিন্তু তার পরিবর্তন সাধন একেবারেই অসম্ভব। যারা অঙ্কে আগ্রহী নয় তারাও সহজেই তা বুঝতে পারবে। দ্বিতীয় অংশে থাকবে ১৯ সংখ্যার বিষ্ময়কর সমন্বয়। আমরা ১৯ সংখ্যাটি নিয়ে একারণে চিন্তাভাবনা করবো য,সংখ্যাটি পবিত্র কোরআনে উল্লিখিত হয়েছে এবং নানাভাবে এর সমন্বয় করা হয়েছে। যে কেউ ১ থেকে ১৯ সহজেই হিসেব করতে পারে এবং অনায়াসে পবিত্র কোরআনে এ সম্পর্কিত বিষ্ময়কর সমন্বয়গুলো প্রত্যক্ষ্য করতে পারেন,যা বুঝা খুবই সহজ কিন্তু পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করা একেবারেই অসম্ভব। এখানে কে কোন বিষয়ের আবিস্কারক তা কোন বিশেষ ব্যাপার নয়। পবিত্র কোরআনের কোন বিষ্ময়কর বিষয়ের আবিস্কারক যদি কোন অবিশ্বাসীও হোন আর তার অবিস্কারের বিষয়বস্তুটি যতি সত্য হয় তা হলে আবিস্কারক দিয়ে আমাদের কিছু যায় আসেনা;কারণ আমাদের লক্ষ্য হল সত্যানুসন্ধান ও তার পরিস্ফূটন। কোন বিতর্ক সৃষ্টি যেমন আমাদের লক্ষ্য নয় তেমনি পবিত্র কোরআনের কোন বিষ্ময়কে অবহেলাভরে পরিত্যাগ করাও কামনা নয়। অসতর্কতা বশতঃ কোন গবেষকের ভুল অন্য আবিস্কারকের আবিস্কারকে ম্লান করে দিতে পারেনা। প্রকৃত সত্যের নিরিখে যা মূল্যায়ন যোগ্য,তার প্রকৃত মূল্যায়নই আমাদের লক্ষ্য। ১৪০০বছর ধরে পবিত্র কোরআনের পাতায় যা অত্যাশ্চর্যে প্রতিক হয়ে প্রতিভাত হওয়ার আশায় আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে,তাকে কে অনাবৃত করলো তা কোন মূখ্য বিষয় নয়, মূখ্য বিষয় হল মহান আল্লার বিধিত বিষয়টি, যা তাঁরই ইচ্ছায় তাঁরই নির্ধারিত কোন ব্যাক্তির পরিচর্যায় কুসুমিত হয়ে আমাদের দৃষ্টি ও বিশ্বাসকে আমাদেরই অজান্তে প্রকট করে তোলা।

কোরআনিক এই সমন্বয় গুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা বা গ্রহনযোগ্যতা কোন ক্রমেই তার আবিস্কারকের বিশ্বাসযোগ্যতা বা গ্রহণযোগ্যাতার উপর নির্ভর করেনা,তা নির্ভর করে  কোরানিক বিষয়ের নিজ দক্ষতা তার মালিকানা, তার পরিসংখ্যান ও সম্ভাব্যতার নিয়মের ও যুক্তির উপর। পবিত্র কোরআনের এই বিষয়গুলি নিজ মহিমায় ভাস্বর ও গ্রহনযোগ্য। আমাদের সময়ে নাস্তিকতা একটা সংক্রামক ব্যাধি, আর এই গানিতিক সমন্বয়ই পারে এই ব্যাধি থেকে মানুষকে মুক্ত করতে। কারণ মানুষ যতই নির্বোধ হোকনা কেন,সে গণিতের যুক্তিকে অস্বীকার করতে পারেনা। একটা সরল সমীকরনকে অস্বীকার করার দুঃসাহস তাদের নেই। এই গাণিতিক সমন্বয়ই তাদের জন্যে উত্তম জবাব যা অস্বীকার করার মত যুক্তি তাদের নাস্তিকতার যুক্তিশাস্ত্রে নেই। এই সমন্বয় কোন ক্ষণস্থায়ী বিষয় নয়, এটি পবিত্র কোরআনের গাঠণিক কাঠামো,চিরস্থায়ী;যখন খুশি তখনই তা পরীক্ষা করে দেখা যায়।

তাইতো মহান আল্লাহ্ সূরা বণী ইসরাঈলের ৮৮ আয়াতে বলছেন,

قُل لَّئِنِ اجْتَمَعَتِ الإِنسُ وَالْجِنُّ عَلَى أَن يَأْتُواْ بِمِثْلِ هَـذَا الْقُرْآنِ لاَ يَأْتُونَ بِمِثْلِهِ وَلَوْ كَانَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ ظَهِيرًا

১৭:৮৮ বলুনঃ যদি মানব ও জ্বিন এই কোরআনের অনুরূপ রচনা করে আনয়নের জন্যে জড়ো হয়, এবং তারা পরস্পরের সাহায্যকারী হয়; তবুও তারা কখনও এর অনুরূপ রচনা করে আনতে পারবে না।

সূধী পাঠক,পবিত্র কোরআন মণিষার এ এক মহা চ্যালেঞ্জ,একমাত্র এই গ্রন্থের  স্রষ্টা ছাড়া আর কোন সৃষ্ট প্রাণীর পক্ষে এই সমন্বিত গ্রন্থ এমনকি একটি সূরা বা নিতান্ত একটি আয়াত তৈরী করা সম্ভব নয়। আমরা ‘পবিত্র কোরআনের গাণিতিক সমন্বয়’ পর্ব-১ এ হয়তোবা দেখে থাকবো কি বিষ্ময়কর সমন্বয় যা কোন মানবীয় সৃষ্টি হতে পারেনা। আমরা এ পর্বেও ধীরে ধীরে অনুরূপ দেখবো।

 

আমরা এখন অভিধানিক মিলের কিছু সংখ্যা তাত্ত্বিক সমন্বয় দেখবো।

১. পবিত্র কোরআনে দিবস শব্দের উপস্থিতি :-‘দিবস’ আরবীতে যাকে ইয়াওম বলা হয়,তা পবিত্র কোরআনে ৩৬৫ বার ব্যাবহৃত হয়েছে।আমরা জানি এটি দিনপঞ্জিকার একটি অতি পরিচিত সংখ্যা; যা আমাদের বছরের দিবস সংখ্যা বুঝায়।সৌর বছরের মোট দিবস সংখ্যা। এটি শুধু দিন পঞ্জির একটি সংখ্যাই নয় এটি সেই সংখ্যায় সম্পর্কযুক্ত হয়ে আছে সূর্যের সাথে আমাদের পৃথিবী। যখন আমাদের পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে একটা ঘূর্ণন সম্পন্ন করে আসে,ততক্ষণে সে নিজে তার নিজ অক্ষের উপর ঠিক ৩৬৫ টি ঘূর্ণন সম্পন্ন করে। অণ্যভাবে বলা যায় যে, আমাদের পৃথিবী যতক্ষণে সূর্যের চারিদিকে প্রদক্ষিন করে আসে,ততক্ষণে আমরা পৃথিবীর মানুষ ৩৬৫ দিন বা একবছর অতিক্রান্ত করি।

পবিত্র কোরআনে  ‘এক দিন’ শব্দটি উল্লেখ সংখ্যা ৩৬৫= সূর্যের চারিদিকে পৃখিবী একবার ঘুরে আসতে দিবস সংখ্যা ৩৬৫।

 

সূধী পাঠক লক্ষ্য করুন এই দিবস শব্দটি একবচনে (ইয়াওম)৩৬৫ বার ব্যবহৃত হয়েছে যা ১বছরে পৃথিবী নিজ অক্ষের উপর ঘূর্ণন সংখ্যা। আবার এই একই শব্দ বহু বচনে (ইয়াম eyyam, yewmeyn) রূপে বসেছে ৩০ বার যা এক মাসের দিবস সংখ্যা বুঝায়। হয়তোবা প্রশ্ন করে বসবেন, প্রত্যেক মাসে দিবসের সংখ্যা ৩০ এ স্থির নয়। সূধী পাঠক এই সমস্যারও ফয়সালা রয়েছে। আমরা জানি সৌর মাসে দিবসের সংখ্যা ৩০ ও ৩১; আবার আরবী মাসে দিবসের সংখ্যা ২৯ ও ৩০। ফলে উভয় ক্যালেন্ডারেই ৩০ হল মধ্য বিন্দু। কোরআন অবতীর্ণ হওয়ার জাতি গোষ্ঠিতে ব্যাবহৃত ক্যালেন্ডার হল আরবী ক্যালেন্ডার;যা চন্দ্র মাসের হিসেবে হয়।এই ক্যালেন্ডারে ৩০ সংখ্যাটি অর্থপূর্ণ। আরবী মাস গড়ে ২৯.৫৩ দিনে সম্পন্ন হয়। একে পূর্ণ সংখ্যায় হিসেব করতে ৩০ ধরতে হয়। অর্থাত কোরআন নির্ভুলভাবে উচ্চতর সংখ্যা ৩০ বুঝাবার জন্যেই হয়তো দিবস শব্দটিকে বহুবচনে ৩০ বার ব্যবহার করেছে; যা প্রকৃত পক্ষেই গাণিতিক সমন্বয়ের এক মহাবিষ্ময়।

সুতরাং বলা যায় ‘দিবসগুলি’ ব্যবহার সংখ্যা ৩০= ১ মাসে দিবসের সংখ্যা।

 

এখানেই শেষ নয়, দিবস শব্দটির অন্যান্ন জাতক শব্দ সমেত দিবস সম্পর্কীয় মোট শব্দ ৪৭৫ টি যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।অর্থাত দিবসের জাতক শব্দ ৮০ টি; সর্বমোট সংখ্যা দাঁড়ায়  ৩৬৫+৩০+৮০=৪৭৫=২৫x x ১৯। উদ্ভূত উৎপাদক দুটির মধ্যে (১৯,২৫); ১৯ সংখ্যাটি গাণিতিক সমন্বয়ের ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী সংখ্যা। এ বিষয়ে আমরা পরে আলোচনা করবো। এখানে ২৫ সংখ্যাটিও অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জানি এই দিবস সূর্যের সাথে পৃথিবীর সমন্বকারী; এবং র্পথিবী সূর্যের চারিদিকে একবার ঘুরে আসাতে আসতে নজ অক্ষের উপর ৩৬৫ বার ঘুরে । আবার সূর্যের অক্ষঘুর্ণিও রয়েছে। এক বছরে পৃথিবী নিজ অক্ষের উপর যেমনি ৩৬৫ বার ঘুরে; ঠিক এই সময়ে সূর্যের অক্ষঘূর্ণি হয় ২৫25 বার। আর এই পদ্ধতি হল মহান স্রষ্টার বিধিত বিধান। আর পবিত্র কোরআনে সংখ্যাগুলোর সমন্বয়ে এই বিষ্ময়কর পরিকল্পনাও তাঁরই। শুধু মাত্র তাঁরই পরিকল্পনায় পবিত্র কোরআন এভাবে রচিত হয়েছে। এই বিষ্ময় কত সহজে বুঝা গেল, কিন্তু পরিবর্তন বা পরিবর্ধন একমাত্র এই গ্রন্থের স্রষ্টা ছাড়া অন্য কোন সত্ত্বার পক্ষে সম্ভব নয়। মহা কাশে এই মহাব্যবস্থায় ঘূর্ণন পদ্ধতি মানুষ জানতে পেরেছে নিতান্তই আধুনিক জমানায় এসে; বলতে পারেন উণবিংশ শতাব্দিতে,আবার পৃথিবী চন্দ্র সূর্যের এই ঘূর্ণন সংখ্যা জানা গেছে একেবারেই বিংশ শতাব্দীতে এসে। অথচ পবিত্র কোরআনে তা সমন্বিত হয়ে মানুষের কাছে এসে পেঁছেছে ১৪০০ বছর আগে।এখন প্রশ্ন হল কেন এই তথ্যগুলো পরিস্কার ভাবে বর্ণনা করা হয়নি। সুধী পাঠক পবিত্র কোরআনে একটা বিষয় হয়তোবা লক্ষ্য করে থাকবেন যে,বিভিন্ন তথ্যপূর্ণ আয়াতগুলো  বর্ণিত হওয়ার পরপরই ভাবুক সমাজকে ভেবে দেখবার জন্যে আহ্বাণ করা হয়েছে। আমরা কি ভেবে দেখেছি সে আয়াতের মধ্যে ভাববার কি আছে? সূধী পাঠক, সম্ভবত এ কারণেই এই তথ্য ও তত্ত্বগুলোকে পবিত্র কোরআনে অনাবৃত করা হয়নি,রেখে দেওয়া হয়েছে আজকের বিজ্ঞানের ক্রম বিকাশের জন্যে(আল্লাহ্ই জানেন ভাল)।

সূধী পাঠক,উপরে উৎপাদক ২৫ এর মাহাত্ব দেখেছেন,১৯ এর বিষ্ময় দেখেননি। এবার দেখুন সেই বিষ্ময়কর অলৌকিকতা। আজকের বিজ্ঞান খুঁজে পেয়েছে সেই মহা সম্পর্ক। তাকিয়ে দেখুন বিষ্ময় কাকে বলে! চন্দ্র সূর্য আর পৃথিবীর ঘূর্ণন পদ্ধতিতে এই 19 সংখ্যাটি আরেক বিষ্ময়। চাঁদ/সুরুয/পৃথিবী এই তিনটি মহাকাশীয় বস্ত প্রতি ১৯ বছরে এক সরল রেখায় আসে। এই ১৯ বছরের চক্রকে র্জ্যোতিবিজ্ঞানের ভষায় এক মেট্রন চক্র বলে। ১৯x২৫475; এর পরেওকি পবিত্র কোরআনকে মানব রচিত পূরাণিক কাহিনী বলবেন?

আমরা উপরে দিবস শব্দ ও তা থেকে উৎপন্ন জাতক থেকে তৈরী সংখ্যার সমন্বয় থেকে পেলাম 19×25=475 ; এখানে প্রণিধান যোগ্য যে,পবিত্র কোরআনে ‘বছর’ শব্দটির জাতক (sinet, sinin) উল্লিখিত হয়েছে ১৯ বার। এ ক্ষেত্রে লিপ ইয়ারের কারণে সৌর ও চন্দ্র পঞ্জিকায় সংশোধন প্রায়োজন; দেখা গেছে পৃথিবী যতদিনে তার নিজ অক্ষের উপর ৩৬৫ বার ঘুরে, চন্দ্র তত দিন পৃথিবীকে ১২ বার প্রদক্ষিণ করে আর নিজ অক্ষের উপরও তত বারই ঘুরে আসে। আর এতে ১ বছর সময় লাগে। কিন্তু পৃথিবী নিজ আক্ষের উপর একটা পূর্ণ ঘূর্ণন সম্পন্ন করে পূর্ব স্থানে ফির আসে ততক্ষণে চাদ পৃথিবীর চারিদিকে একটা পূর্ণ ঘূর্ণন শেষ করে উঠেতে পারেনা,কিছুটা পিছনে পড়ে যায়। আর পিছনে পড়া শেষ করে ১৯ বছরে পুনরায় এক বিন্দুতে মিলিত হয় অর্থাৎ চন্দ্র সূরুয ও পৃথিবী এক সরল রেখায় আসে আর এই চক্রকে বলে মেটন চক্র (Meton cycle) । তাই চন্দ্র পঞ্জিকায় প্রতি ১৯ বছরে ৭ টি লিপ ইয়ারের মাধ্যামে এই ঘাটতি পূরণ করা হয়। আরবী সাধারন বছরে দিনের সংখ্যা হয় ৩৫৪ আর লিপ ইয়ারে  দিনের সংখ্যা হয় ৩৫৫। তাহলে দেখা যাচ্ছে প্রতি মেটন চক্রে আরবী সাধারন বছর হয় ১২ টি আর লিপইয়ার হয় ৭ টি। বিষ্ময়কর হল এই যে, পবিত্র কোরআনে  একবচনে বছর (sinet)) শব্দটি ঠিক ব্যবহৃত হয়েছে ৭ বার আর বহুবচনে বছর  (sinin) শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে ১২ বার। আবার বছর শব্দের অন্যান্ন জাতক শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে ১৯ বার;সম্ভবত এই ১৯ মেটন চক্রেরই সংকেত(আল্লাহ্ই জানেন    ভাল )।

পরিশেষে দেখা যাচ্ছে বছর শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে ১৯ বার; এক মেটন চক্র ১৯ বছরে হয়। আরও বিষ্ময় দেখুন, চাঁদ সুরুয একত্রে ব্যাবহৃত হয়েছে এমন আয়াতের সংখ্যা পবিত্র কোরআনে ঠিক ১৯ টি; আর এই সংখ্যাটিই মেট্রন সংখ্যা। চাঁদ সুরুয শব্দ দুইটি একত্রে ব্যাবহৃত হয়েছে এমন আয়াত গুলো দেখুন,

وَجُمِعَ الشَّمْسُ وَالْقَمَرُ

75:9 এবংসূর্যওচন্দ্রকেএকত্রিতকরাহবে  সূরা-আল কিয়ামাহ্ (বিচার দিবস)

وَمِنْ آيَاتِهِ اللَّيْلُ وَالنَّهَارُ وَالشَّمْسُ وَالْقَمَرُ لَا تَسْجُدُوا لِلشَّمْسِ وَلَا لِلْقَمَرِ وَاسْجُدُوا لِلَّهِ الَّذِي خَلَقَهُنَّ إِن كُنتُمْ إِيَّاهُ تَعْبُدُونَ

41: 37 তাঁরনিদর্শনসমূহেরমধ্যেরয়েছেদিবস, রজনী, সূর্যওচন্দ্র।তোমরাসূর্যকেসেজদাকরোনা, চন্দ্রকেওনা; আল্লাহকেসেজদাকর, যিনিএগুলোসৃষ্টিকরেছেন, যদিতোমরানিষ্ঠারসাথেশুধুমাত্রতাঁরইএবাদতকর।

فَالِقُ الإِصْبَاحِ وَجَعَلَ اللَّيْلَ سَكَنًا وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ حُسْبَانًا ذَلِكَ تَقْدِيرُ الْعَزِيزِ الْعَلِيمِ

6:96 তিনিপ্রভাতরশ্মির উন্মেষক।তিনিরাত্রিকেআরামদায়ককরেছেনএবংসূর্যওচন্দ্রকেহিসেবের জন্যরেখেছেন।এটিপরাক্রান্ত, মহাজ্ঞানীরনির্ধারণ। সূরা- আল আন আম।

إِنَّ رَبَّكُمُ اللّهُ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضَ فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ ثُمَّ اسْتَوَى عَلَى الْعَرْشِ يُغْشِي اللَّيْلَ النَّهَارَ يَطْلُبُهُ حَثِيثًا وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ وَالنُّجُومَ مُسَخَّرَاتٍ بِأَمْرِهِ أَلاَ لَهُ الْخَلْقُ وَالأَمْرُ تَبَارَكَ اللّهُ رَبُّ الْعَالَمِينَ

৭:৫৪ নিশ্চয়তোমাদেরপ্রতিপালকআল্লাহ।তিনিনভোমন্ডলওভূমন্ডলকেছয়দিনেসৃষ্টিকরেছেন।অতঃপরআরশেরউপরঅধিষ্টিতহয়েছেন।তিনিপরিয়েদেনরাতেরউপরদিনকেএমতাবস্থায়যে, দিনদৌড়েরাতেরপিছনেআসে।তিনিসৃষ্টিকরেছেনসূর্য,চন্দ্রওনক্ষত্রদৌড়স্বীয়আদেশেরঅনুগামী।শুনেরেখ, তাঁরইকাজসৃষ্টিকরাএবংআদেশদানকরা।আল্লাহ, বরকতময়যিনিবিশ্বজগতেরপ্রতিপালক।  সূরা আল আরাফ

هُوَ الَّذِي جَعَلَ الشَّمْسَ ضِيَاء وَالْقَمَرَ نُورًا وَقَدَّرَهُ مَنَازِلَ لِتَعْلَمُواْ عَدَدَ السِّنِينَ وَالْحِسَابَ مَا خَلَقَ اللّهُ ذَلِكَ إِلاَّ بِالْحَقِّ يُفَصِّلُ الآيَاتِ لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ

১০:৫ তিনিই সে মহান সত্তা, যিনি বানিয়েছেন সুর্যকে উজ্জল আলোকময়, আর চন্দ্রকে স্নিগ্ধ আলো বিতরণকারীরূপে এবং অতঃপর নির্ধারিত করেছেন এর জন্য মনযিল সমূহ, যাতে করে তোমরা চিনতে পার বছরগুলোর সংখ্যা ও হিসাব। আল্লাহ এই সমস্ত কিছু এমনিতেই সৃষ্টি করেননি, কিন্তু যথার্থতার সাথে। তিনি প্রকাশ করেন লক্ষণসমূহ সে সমস্ত লোকের জন্য যাদের জ্ঞান আছে।

إِذْ قَالَ يُوسُفُ لِأَبِيهِ يَا أَبتِ إِنِّي رَأَيْتُ أَحَدَ عَشَرَ كَوْكَبًا وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ رَأَيْتُهُمْ لِي سَاجِدِينَ

১২:৪ যখনইউসুফপিতাকেবললঃপিতা, আমিস্বপ্নেদেখেছিএগারটিনক্ষত্রকে।সুর্যকেএবংচন্দ্রকে।আমিতাদেরকেআমারউদ্দেশেসেজদাকরতেদেখেছি।  সূরা ইউসূফ

اللّهُ الَّذِي رَفَعَ السَّمَاوَاتِ بِغَيْرِ عَمَدٍ تَرَوْنَهَا ثُمَّ اسْتَوَى عَلَى الْعَرْشِ وَسَخَّرَ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ كُلٌّ يَجْرِي لأَجَلٍ مُّسَمًّى يُدَبِّرُ الأَمْرَ يُفَصِّلُ الآيَاتِ لَعَلَّكُم بِلِقَاء رَبِّكُمْ تُوقِنُونَ

13:2 আল্লাহ, যিনিউর্ধ্বদেশেস্থাপনকরেছেনআকাশমন্ডলীকেস্তম্ভব্যতীত।তোমরাসেগুলোদেখ।অতঃপরতিনিআরশেরউপরঅধিষ্ঠিতহয়েছেন।এবংসূর্যওচন্দ্রকেকর্মেনিয়োজিতকরেছেন।প্রত্যেকেনির্দিষ্টসময়মোতাবেকআবর্তনকরে।তিনিসকলবিষয়পরিচালনাকরেন, নিদর্শনসমূহপ্রকাশকরেন, যাতেতোমরাস্বীয়পালনকর্তারসাথেসাক্ষাতসম্বন্ধেনিশ্চিতবিশ্বাসীহও।  সূরা আর রাদ

وَسَخَّر لَكُمُ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ دَآئِبَينَ وَسَخَّرَ لَكُمُ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ

14:33 এবংতোমাদেরসেবায়নিয়োজিতকরেছেনসূর্যকেএবংচন্দ্রকেসর্বদাএকনিয়মেএবংরাত্রিওদিবাকেতোমাদেরকাজেলাগিয়েছেন। সূরা ইব্রাহীম

وَسَخَّرَ لَكُمُ اللَّيْلَ وَالْنَّهَارَ وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ وَالْنُّجُومُ مُسَخَّرَاتٌ بِأَمْرِهِ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِّقَوْمٍ يَعْقِلُونَ

16:12 তিনিইতোমাদেরকাজেনিয়োজিতকরেছেনরাত্রি, দিন, সূর্যএবংচন্দ্রকে।তারকাসমূহতাঁরইবিধানেরকর্মেনিয়োজিতরয়েছে।নিশ্চয়ইএতেবোধশক্তিসম্পন্নদেরজন্যেনিদর্শনাবলীরয়েছে। সূরা আন নাহল

وَهُوَ الَّذِي خَلَقَ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ كُلٌّ فِي فَلَكٍ يَسْبَحُونَ

২১:৩৩ তিনিইসৃষ্টিকরেছেনরাত্রিওদিনএবংসূর্যওচন্দ্র।সবাইআপনআপনকক্ষপথেবিচরণকরে। সূরা আম্বিয়া

أَلَمْ تَرَ أَنَّ اللَّهَ يَسْجُدُ لَهُ مَن فِي السَّمَاوَاتِ وَمَن فِي الْأَرْضِ وَالشَّمْسُ وَالْقَمَرُ وَالنُّجُومُ وَالْجِبَالُ وَالشَّجَرُ وَالدَّوَابُّ وَكَثِيرٌ مِّنَ النَّاسِ وَكَثِيرٌ حَقَّ عَلَيْهِ الْعَذَابُ وَمَن يُهِنِ اللَّهُ فَمَا لَهُ مِن مُّكْرِمٍ إِنَّ اللَّهَ يَفْعَلُ مَا يَشَاء

২২:১৮ তুমিকিদেখনিযে, আল্লাহকেসেজদাকরেযাকিছুআছেনভোমন্ডলে, যাকিছুআছেভুমন্ডলে, সূর্য, চন্দ্র, তারকারাজিপর্বতরাজিবৃক্ষলতা, জীবজন্তুএবংঅনেকমানুষ।আবারঅনেকেরউপরঅবধারিতহয়েছেশাস্তি।আল্লাহযাকেইচ্ছালাঞ্ছিতকরেন, তাকেকেউসম্মানদিতেপারেনা।আল্লাহযাইচ্ছাতাইকরেন।-সূরা আল হাজ্ব

وَلَئِن سَأَلْتَهُم مَّنْ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَسَخَّرَ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لَيَقُولُنَّ اللَّهُ فَأَنَّى يُؤْفَكُونَ

29:61 যদিআপনিতাদেরকেজিজ্ঞেসকরেন, কেনভোমন্ডলওভূ-মন্ডলসৃষ্টিকরেছে, চন্দ্রওসূর্যকেকর্মেনিয়োজিতকরেছে? তবেতারাঅবশ্যইবলবেআল্লাহ।তাহলেতারাকোথায়ঘুরেবেড়াচ্ছে?- সূরা আনকাবুত

َلَمْ تَرَ أَنَّ اللَّهَ يُولِجُ اللَّيْلَ فِي النَّهَارِ وَيُولِجُ النَّهَارَ فِي اللَّيْلِ وَسَخَّرَ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ كُلٌّ يَجْرِي إِلَى أَجَلٍ مُّسَمًّى وَأَنَّ اللَّهَ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ

31:29 তুমিকিদেখনাযে, আল্লাহরাত্রিকেদিবসেপ্রবিষ্টকরেনএবংদিবসকেরাত্রিতেপ্রবিষ্টকরেন? তিনিচন্দ্রওসূর্যকেকাজেনিয়োজিতকরেছেন।প্রত্যেকেইনির্দিষ্টকালপর্যন্তপরিভ্রমণকরে।তুমিকিআরওদেখনাযে, তোমরাযাকর, আল্লাহতারখবররাখেন

يُولِجُ اللَّيْلَ فِي النَّهَارِ وَيُولِجُ النَّهَارَ فِي اللَّيْلِ وَسَخَّرَ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ كُلٌّ يَجْرِي لِأَجَلٍ مُّسَمًّى ذَلِكُمُ اللَّهُ رَبُّكُمْ لَهُ الْمُلْكُ وَالَّذِينَ تَدْعُونَ مِن دُونِهِ مَا يَمْلِكُونَ مِن قِطْمِيرٍ

35:13 তিনিরাত্রিকেদিবসেপ্রবিষ্টকরেনএবংদিবসকেরাত্রিতেপ্রবিষ্টকরেন।তিনিসূর্যওচন্দ্রকেকাজেনিয়োজিতকরেছেন।প্রত্যেকটিআবর্তনকরেএকনির্দিষ্টমেয়াদপর্যন্ত।ইনিআল্লাহ; তোমাদেরপালনকর্তা, সাম্রাজ্যতাঁরই।তাঁরপরিবর্তেতোমরাযাদেরকেডাক, তারাতুচ্ছখেজুরআঁটিরওঅধিকারীনয়।  সূরা ফাতির

َا الشَّمْسُ يَنبَغِي لَهَا أَن تُدْرِكَ الْقَمَرَ وَلَا اللَّيْلُ سَابِقُ النَّهَارِ وَكُلٌّ فِي فَلَكٍ يَسْبَحُونَ

36:40 সূর্যনাগালপেতেপারেনাচন্দ্রেরএবংরাত্রিঅগ্রেচলেনাদিনেরপ্রত্যেকেইআপনআপনকক্ষপথেসন্তরণকরে।

خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ بِالْحَقِّ يُكَوِّرُ اللَّيْلَ عَلَى النَّهَارِ وَيُكَوِّرُ النَّهَارَ عَلَى اللَّيْلِ وَسَخَّرَ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ كُلٌّ يَجْرِي لِأَجَلٍ مُسَمًّى أَلَا هُوَ الْعَزِيزُ الْغَفَّارُ

39:5 তিনিআসমানওযমীনসৃষ্টিকরেছেনযথাযথভাবে।তিনিরাত্রিকেদিবসদ্বারাআচ্ছাদিতকরেনএবংদিবসকেরাত্রিদ্বারাআচ্ছাদিতকরেনএবংতিনিসুর্যওচন্দ্রকেকাজেনিযুক্তকরেছেনপ্রত্যেকেইবিচরণকরেনির্দিষ্টসময়কালপর্যন্ত।জেনেরাখুন, তিনিপরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল।

আমরা এতক্ষন দেখলাম দিবস শব্দটি ও তার বিভিন্ন জাতক শব্দ মিলে  কি সুন্দর গাণিতিক সমন্বয় সৃষ্টি করেছে। শুধু তাই নয় এই শব্দ থেকে উৎপন্ন ফ্রেজ  সমুহ ‘ঐ দিন, শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে মহা প্রলয়ের দিন প্রসঙ্গে, আবার ‘মহা বিচার দিন’ শব্দ গুচ্ছটি বিচার দিবস প্রসঙ্গে ব্যবহৃত হয়েছে। এই শব্দ গুচ্ছ দু’টি পবিত্র কোরআনে প্রত্যেকে ৭০ বার করে ব্যবহৃত হয়েছে যা ঐ ৪৭৫ বার ব্যবহারের বাইরে। লক্ষ্য করুন নীচের আয়াত দু’টি-

وُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ نَّاعِمَةٌ

৮৮:৮ অনেকমুখমন্ডলসেদিনহবে, সজীব,  সূরা আল-গাসীয়াহ

وَمَا قَدَرُوا اللَّهَ حَقَّ قَدْرِهِ وَالْأَرْضُ جَمِيعًا قَبْضَتُهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَالسَّماوَاتُ مَطْوِيَّاتٌ بِيَمِينِهِ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى عَمَّا يُشْرِكُونَ

৩৯:৬৭ তারাআল্লাহকেযথার্থরূপেবোঝেনি।কেয়ামতেরদিনগোটাপৃথিবীথাকবেতাঁরহাতেরমুঠোতেএবংআসমানসমূহভাঁজকরাঅবস্থায়থাকবেতাঁরডানহাতে।তিনিপবিত্র।আরএরাযাকেশরীককরে, তাথেকেতিনিঅনেকউর্ধ্বে।

সূধী পাঠক,পবিত্র কোরআনে দিন শব্দটির ব্যবহার দেখে কি খুবই অবাক হচ্ছেন?অবাক হওয়ার কিছুই নেই, এই সমন্বয় যাঁর দ্বারা সাধিত,তাঁর পক্ষে এগুলো কোন ভাবনা চিন্তার বিষয় নয়;কারণ তিঁনি ত্রিমাত্রার কউ নন,মহাবিশ্বের সকল মাএাই তাঁর; ভুতভবিষ্যত সবকিচুই তাঁর জানা, সকল সমীকরণের ফলাফল তার অগ্রীম জানা। মেট্রন চক্র থেকে মহাবিশ্বের শেষ বিচার দিন অবদি সকল হিসেবই তাঁর জানা। তাইতো পবিত্র কোরআনে যা কিছু দেখবেন সবই এমনি তর অবাক করা। আমাদের দিকে দৃষ্টি রাখুন,মহান আল্লাহর ইচ্ছে হলে আমরা এক এক করে দেখতে চেষ্টা করবো।

প্রবন্ধটি ‘THE QURAN UNCHALLENGEABLE MIRACLE’  By CANER TASLAMAN গ্রন্থের সহযোগিতায় প্রণিত।

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান